ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ -শামসুর রাহমান

পরিচিতিঃ 
জন্মঃ ২৩ অক্টোবর, ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দ, মাহুতটুলী, ঢাকা।
মৃত্যুঃ ১৭ আগস্ট, ২০০৬ খ্রিস্টাব্দ।
পৈতৃক নিবাসঃ পাড়াতলী গ্রাম, রায়পুর, নরসিংদী
পিতার নামঃ মুখলেসুর রাহমান চৌধুরী
মাতার নামঃ আমেনা বেগম
কর্মজীবনঃ সাংবাদিকতা। (দৈনিক মর্নিং নিউজ, সম্পাদক-দৈনিক বাংলা,। সভাপতি-বাংলা একাডেমি।

সাহিত্যকর্মঃ
কাব্য- প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে, রৌদ্র করোটিতে, বিধ্বস্ত নীলিমা, নিরালোকে দিব্যরথ, নিজ বাসভূমে, বন্দী শিবির থেকে, ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা, এক ফোঁটা কেমন অনল, বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে, উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ, বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়, শামসুর রাহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

উপন্যাসঃ অক্টোপাস, নিয়ত মন্তাজ, অদ্ভুত আঁধার এক, এলো সে অবেলায়।
প্রবন্ধঃ আমৃত্যু তাঁর জীবনানন্দ।
অনুবাদঃ ফ্রস্টের কবিতা, হ্যামলেট, ডেনমার্কের যুবরাজ।
সম্পাদনাঃ হাসান হাফিজুর রাহমানের অপ্রকাশিত কবিতা।
শিশুতোষঃ এলাটিং বেলাটিং, ধান ভানলে কুঁড়ো দেবো, গোলাপ ফোটে খুকীর হাতে, রংধনু সাঁকো, লাল ফুলকির ছড়া।
পুরস্কারঃ আদমজী পুরস্কার (১৯৬৩), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৯), একুশে পদক(১৯৭৭), স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৯১)।

সাহিত্য থেকে জিজ্ঞাসাঃ
“তোমাকে পাওয়ার জন্যে হে স্বাধীনতা” এই বিখ্যাত কবিতাটি “বন্দী শিবির থেকে’ কাব্যের অন্তর্গত।
“স্বাধীনতা তুমি” কবিতাটিকে শামসুর রাহমান বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘অজর’ কবিতার সাথে তুলনা করেছেন। এই কবিতাটি ও “বন্দী শিবির থেকে” কাব্য থেকে নেওয়া হয়েছে।
“স্বাধীনতা সম্পর্কিত শামসুর রাহমানের কবিতা- ‘স্বাধীনতা তুমি’ ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে হে স্বাধীনতা’ ‘তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা’
তাঁর ছদ্মনাম – মজলুম আদিব, মৈনাক।

এক নজরে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
০১. ‘ফেব্র“য়ারি ১৯৬৯’ কবিতাটি শামসুর রাহমানের “নিজ বাসভূমে” কাব্য থেকে চয়নকৃত।
০২. প্রথম লাইন= আবার ফুটেছে দ্যাখো কৃষ্ণচূড়া থরে থরে শহরের পথে
০৩.শেষ লাইন= শিহরিত ক্ষণে ক্ষণে আনন্দের রৌদ্রে আর দুঃখের ছায়ায়।
০৪. কবিতাটি গদ্যছন্দে ধীর লয়ের ও প্রবাহমান ভঙ্গিতে রচিত।
০৫.কে বুক পাতে ঘাতকের থাবার সামনে? = বরকত বুক পাতে।
০৬. কবির চতুর্দিকে কী তছনছ হচ্ছে?= মানবিক বাগান ও কমল বন তছনছ হচ্ছে।
০৭.আলোচ্য কবিতায় কবি মনুষ্যত্ব, ন্যায় ও মঙ্গলের জগৎকে মানবিক বাগান বলেছেন।
০৮. কবিতায় পর্বগুলো নানা মাত্রার ও পর্ব দৈর্ঘ্যে কোন মিল বা সমতা নেই।
০৯. সালামের হাত থেকে নক্ষত্রের মতো অবিরত কী ঝরে? = অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে।
১০. শহরের পথে থরে থরে কী ফুটেছে? = কৃষ্ণচূড়া ফুটেছে।
১১. কৃষ্ণচূড়াগুলোকে কবির কী মনে হয়? = শহীদদের ঝলকিত রক্তের বুদ্বুদ।
১২. কী স্মৃতিগন্ধে ভরপুর? = শহরের পথে থরে থরে ফোটা কৃষ্ণচূড়া।

১৪. সালাম আবার কখন রাজপথে নামে? = ঊনসত্তরে।
১৫. ঘাতকের আস্তানায় ভূলুণ্ঠিতরা কেমন অবস্থায় আছে? = মরা, আধমরা অবস্থায়।
১৬. সালামকে কারা দেখল? = জনসাধারণ দেখল।
১৭. কার রক্তে বাস্তবের বিশাল চত্বরে ফুল ফোটে? = বীরের রক্তে।
১৮. হৃদয়ের উপত্যকাটির রং কেমন? = হরিৎ।
১৯. কবিতায় রৌদ্র কিসের প্রতীক? = আনন্দের প্রতীক।
২০. ছায়া কিসের রূপ? = দুঃখের রূপ।
২১.কবি কার আস্তানাকে অশুভ বলেছেন? = ঘাতকের আস্তানাকে।
২২. কবিতায় সংগ্রামী চেতনা, গণজাগরণ ও দেশপ্রেমের দিক কবির গভীর মমতায় মূর্ত হয়ে উঠেছে।
২৩. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ছয় দফা ও ছাত্রদের ১১ দফার ভিত্তিতে ১৯৬৯ সালে এ দেশে অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন গড়ে ওঠে।

গুরুত্বর্পূণ শব্দার্থঃ 
মানবিক বাগান = মানবীয় জগৎ। মনুষ্যত্ব, ন্যায় ও মঙ্গলের জগৎ।
সেই ফুল আমাদের প্রাণ = ফুল বলতে এখানে বাংলা ভাষা বোঝানো হয়েছে।
একুশের কৃষ্ণচূড়া = একুশে ফেব্র“য়ারি।
বরকত গাঢ় = অবিনাশী বর্ণমালা।
কমলবন = কবি মানবিকতা, সুন্দর ও কল্যাণের জগৎ বোঝাতে “কমলবন” প্রতীকটি ব্যবহার করেছেন।

নিজের সুবিধামত পড়ার জন্য টাইমলাইনে শেয়ার করে রাখুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × one =