সাম্যবাদী: কাজী নজরুল ইসলাম

কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কিত তথ্য-
জন্ম – ২৫ মে ১৮৯৯ খ্রি. (১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৩০৬ বঙ্গাব্দ)।
জন্মস্থান- বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে।
মৃত্যু – ২৯ আগস্ট, ১৯৭৬ খ্রি. (১২ ভাদ্র ১৩৮৩) ঢাকা।
পিতা – কাজী ফকির আহমদ।
মাতা – জাহেদা খাতুন।
স্ত্রীর নাম- আশালতা সেনগুপ্তা (ডাক নাম- দুলি, বিবাহোত্তর নাম প্রমীলা)
ছদ্মনাম- ধুমকেতু
উপাধি- বাংলাদেশের জাতীয় কবি।
সেনাবাহিনীতে যোগ দেন- ১৯১৭ সালে (৪৯নং রেজিমেন্ট)।
প্রথম প্রকাশিত কাব্য- অগ্নিবীণা (১৯২২ সালে)
প্রথম কবিতা- মুক্তি (১৩২৬ বঙ্গাব্দ)

প্রথম গল্প- বাউণ্ডেলের আত্মকাহিনী (১৩২৬ বঙ্গাব্দ)
প্রথম প্রবন্ধ- তুর্কি মহিলার ঘোমটা খোলা (১৩২৬ বঙ্গাব্দ)
প্রথম উপন্যাস- বাঁধনহারা (১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ)
সম্পাদিত পত্রিকাসমূহ- নবযুগ (১৯২০), ধূমকেতু (১৯২২), লাঙল (১৯২৫), গণবাণী
কারাবরণ- ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতা লেখার কারণে ১৯২২ সালে।
প্রাপ্ত পুরস্কার- জগত্তারিণী (১৯৪৫), পদ্মভূষণ (১৯৬০), ‘ডি লিট’ ঢা.বি. (১৯৭৪), রবীন্দ্রভারতী (১৯৬৯), একুশে পদক (১৯৭৬)।

এক নজরে ‘সাম্যবাদী’
সকল রাজমুকুট লুটিয়ে পড়েছে- মানুষের হৃদয়ে।
কবির কাছে মসজিদ, মন্দির, গির্জার অবস্থান যেখানে -মানুষের হৃদয়ে।
সকল যুগাবতারের সন্ধান পাওয়া যাবে-মানুষের হৃদয়ে।
বাঁশির কিশোর গেয়েছিলেন-মহা-গীতা ।
বুদ্ধদেব ধ্যানে বসেছিলেন- হৃদয়ের ধ্যান-গুহায় ।
বুদ্ধদেব রাজ্য ত্যাগ করেছিল-মানুষের মহা-বেদনার ডাক শুনে।
আরব-দুলাল গান গেয়েছিলেন-কোরানের সাম-গান ।
বাইবেল হল-খ্রিস্টধর্মের ধর্মগ্রন্থ ।
বিশ্ব মুসলিমের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র হল-কাবা ঘর।
হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থের নাম হল-বেদ।
জেন্দাবেস্তা যাদের ধর্মগ্রন্থ-পারস্যের অগ্নি উপাসকদের ।
‘সাম্যবাদী’কবিতায় কবি গান গেয়েছেন- সাম্যের(সমতা) ।

জৈন হল- একটি ধর্মের নাম।
মহাবীর প্রতিষ্ঠিত ধর্ম হল-জৈন ধর্ম ।
ঈসা-মুসা সত্যের পরিচয় পেয়েছেন-নিজ হৃদয়ে ।
বাঁশির কিশোর হল-ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।
সাঁওতাল হল-ভারতীয় উপমহাদেশের আদিম নৃগোষ্ঠী ।
‘সাম্যবাদী’ তে কবির কাছে কাশী, মথুরা, বৃন্দাবন হল- নিজ হৃদয়ে।
জেরুজালেম অবস্থিত-ফিলিস্তিনে ।
‘সাম্যবাদী’ কবিতায় সকল শাস্ত্র খুঁজে পাওয়া যাবে-প্রত্যেক মানুষের নিজ প্রাণে ।
কবিতায় যে ভাষার নাম উল্লেখ আছে-জেন্দা।
কবিতায় উল্লেখিত উপজাতির নাম-সাঁওতাল, ভীল, গারো।
দেবতা ঠাকুর হাসছেন কোথায়-অমৃত হিয়ার নিভৃত অন্তরালে।
খ্রিস্টান, মুসলমান এবং ইহুদীর নিকট সমান গুরুত্ববহ-জেরুজালেম।

সাম্যবাদী কবিতার মধ্যে যে যে ধর্মের কথা বলেছেন-মুসলিম, খ্রিস্টান, ইহুদি, বৌদ্ধ, হিন্দু, জৈন, জেন্দাবেস্তা ইত্যাদি।
কবিতায় যে যে ধর্ম গ্রন্থের কথা উল্লেখ আছে- কোরান, পুরাণ, বেদ, বেদান্ত, বাইবেল, ত্রিপিটক।
কবিতায় যে যে পবিত্র স্থানের কথা উল্লেখ আছে- নীলাচল, কাশী, মথুরা, বৃন্দাবন, গয়া, জেরুজালেম, মদিনা।
যে যে বিখ্যাত ব্যক্তির নাম উল্লেখ আছে- হযরত মুহাম্মদ (স.), হযরত ঈসা, হযরত মুসা, বুদ্ধদেব, কন্ফুসিয়াস।
কনফুসিয়াস – চীনা দার্শনিক।

গুরুত্বর্পূণ শব্দার্থ:
 সাম্য= সমদর্শিতা। সমতা।
 পার্সি= পারস্যদেশের বা ইরানের নাগরিক।
 জৈন= মহাবীর প্রতিষ্ঠিত ধর্ম মতাবলম্বী মানুষ।
 ইহুদি= প্রাচীন হিব্র“ বা জু-জাতি ও ধর্ম-সম্প্রদায়ের মানুষ।
 সাঁওতাল, ভীল= ভারতীয় উপমহাদেশের আদিম নৃগোষ্ঠীবিশেষ।
 দেউল= দেবালয়। মন্দির।
 যুগাবতার= বিভিন্ন যুগে অবতীর্ণ মহাপুরুষ।
 ঝুট= মিথ্যা।
 শাক্যমুনি= শাক্যবংশে জন্ম যার। বুদ্ধদেব।
 কন্দরে= পর্বতের গুহা। (হৃদয়ের) গভীর গোপন স্থান।
 কোরানের সাম-গান= পবিত্র কোরানের সাম্যের বাণী।
 গারো= গারো পর্বত অঞ্চলের অধিবাসী। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীবিশেষ।

নিজের সুবিধামত পড়ার জন্য টাইমলাইনে শেয়ার করে রাখুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − ten =