ঐকতান: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কিত তথ্য-
পিতা- মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
মাতা- সারদা দেবী
পিতামহ- প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
পরিবারে অবস্থান- বাবা মা’র চতুর্দশ সন্তান ও অষ্টমপুত্র।
স্ত্রী- ভবতারিনী দেবী, পরিবর্তিত নাম মৃণালিনী দেবী।
জন্ম- ৭ মে ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দ; ২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ।
জন্মস্থান- কলকাতার জোড়াসাকোঁ, পৈতৃক নিবাস খুলনা।
মৃত্যু- ৭ আগস্ট, ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দ, ২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ।
প্রথম কবিতা- হিন্দুমেলার উপহার (১৮৭৪)
প্রথম প্রকাশিত নাটক- বাল্মিকী প্রতিভা (১৮৮১)
প্রথম প্রকাশিত কাব্য- কবি কাহিনী

প্রথম কাব্য- বনফুল (পত্রিকায় প্রকাশিত)
প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস- বৌ-ঠাকুরাণীর হাট (১৮৮৩)
প্রথম রচিত উপন্যাস- করুণা (১৮৭৭)
প্রথম প্রকাশিত ছোট গল্প – ভিখারিনী (১৮৭৪)।
প্রবন্ধ- বিবিধপ্রসঙ্গ (১৮৮৩)
সম্পাদক- মাসিক সাধনা (১৮৯৪), ভারতী, বঙ্গদর্শন
উপাধি- বিশ্বকবি। ছদ্মনাম- ভানুসিংহ।
নাইট উপাধি লাভ- ১৯১৫ সালে।
নাইট উপাধি বর্জন- ১৯১৯ সালে। ইংরেজ কর্তৃক পাঞ্জাবের অমৃতসরে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে।
নোবেল পুরস্কার পান – গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য (১৯১৩ সালে) (গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদ ‘ংড়হম ড়ভভবৎরহমং’)
পুরস্কার ও সম্মাননা – নোবেল পুরস্কার (১৯১৩), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডি-লিট (১৯১৩), অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডি-লিট (১৯৪০), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডি-লিট (১৯৩৬)।

এক নজরে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি –
কাব্যগ্রন্থ – ৫৬
উপন্যাস – ১২
ছোটগল্প – ১১৯
নাটক – ২৯
কাব্যনাট্য – ১৯
ভ্রমণকাহিনী – ৯
গান – ২২৩২
চিঠিপত্র – ১৩
গীতিপুস্তক – ৪

এক নজরে ঐকতান-
০১. সংকীর্ণ জানালা দিয়ে দেখা যায় না- বৃহত্তর সমাজ ও জীবনকে।
০২. কবি বিচ্ছিন্ন হয়েছেন- সম্মানবঞ্চিত ব্রাত্যজনতা থেকে।
০৩. কবি চিত্রময়ী বর্ণনার বাণী কুড়িয়ে আনেন- অক্ষয় উৎসাহে।
০৪. কবি জ্ঞানের দীনতা পূরণ করে নেন- ভিক্ষালব্ধ ধনে।
০৫. বাংলা সাহিত্যে সাধনার সময়কে বলা হয়- রবীন্দ্রযুগ ।
০৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার মূলসুর-মানবধর্মের জয় ও সৌন্দর্যতৃষ্ণা ।
০৭. ‘বিশ্বভারতী’ নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাপ্নিক ও প্রতিষ্ঠাতা -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।
০৮. কবির মন জুড়ে আছে-বিশাল বিশ্বের ক্ষুদ্র এক কোণে।
০৯. কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অক্ষয় উৎসাহে পড়েন-ভ্রমণবৃত্তান্ত ।
১০. কবি কুড়িয়ে আনেন-চিত্রময়ী বর্ণনার ধন ।
১১. কবি মাঝে মাঝে গিয়েছেন- ওপাড়ার প্রাঙ্গণের ধারে ।
১২. কৃত্রিম পণ্যে গানের পসরা ব্যর্থ হয়- জীবনের জীবন যোগ না হলে।

১৩. কবির বিচিত্র পথে অগ্রসর হয়েও হয়নি- সর্বত্রগামী ।
১৪. ‘ঐকতান যে ধরনের কবিতা- আত্মসমালোচনামূলক।
১৫. একতারা যাদের তারও যেন সম্মান পায়- সাহিত্যের ঐকতান সংগীত সভায় ।
১৬. কবির সঙ্গ সহসা উঁকি দিল- বিশ্বসত্তার মাঝখানে ।
১৭. নানা সূত্র থেকে জ্ঞান আহরণ করে কবি সমৃদ্ধ করেন- নিজের জ্ঞানভান্ডারকে।
১৮. স্বরসাধনা বলতে ঐকতান কবিতায় বোঝানো হয়েছে- সুর বা সংগীত সাধনা ।
১৯. বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে সৃষ্ট সুর, সমস্বরকে বলে- ঐকতান।
২০. খেতে হাল চালায়- চাষি।
২১. যেখানে সাহিত্যের ঐকতান- সংগীত সভায় ।
২২. কবিরা কবিতা রচনা করে- সুর সৃষ্টির জন্য ।
২৩. কবিতার রস সৃষ্টি হয়- পাঠকের অন্তরে ।
২৪. সংকীর্ণ বাতায়ন বলতে কবি বুঝিয়েছেন- সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি।
২৫. পৃথিবীকে কবি সম্বোধন করেছেন- বিপুলা বলে।

২৬.‘চিত্রময়ী বর্ণনার বাণী’ দ্বারা বোঝানো হয়েছে- পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাহিত্যের সম্পদ ।
২৭. ‘ঐকতান’ কবিতাটির ছন্দ- সমিল প্রবহমান অক্ষরবৃত্ত ।
২৮. কবি পৃথিবীতে যাদের সঙ্গ পান-  সবাকার।
২৯. যার মন অতি ক্ষুদ্র এক কোণ জুড়ে থাকে-  কবির মন।
৩০. চিত্রময়ী বর্ণনার বাণী কুড়িয়ে আনেন- কবি।
৩১. কবির কাছে ভিক্ষালব্ধ ধন হল- জ্ঞান।
৩২. স্বরসাধনায় কবির রয়ে গেছে- ফাঁক ।
৩৩. নানা কবি নানা দিক থেকে- গান ঢালে।
৩৪. কবি নমস্কার করবেন- গুণি ব্যক্তিদের ।
৩৫. পৃথিবীর ধ্বনির সাড়া পাওয়া যায় যেখানে- কবির বাঁশির সুরে ।
৩৬. ‘ঐকতান’ কবিতায় মানুষের কাছে অপরিচিত হল-  ২জন।
৩৭. কবিতায় একতারা বলতে যাদের বুঝিয়েছেন- অবজ্ঞাত উপেক্ষিত মানুষদের।
৩৮. কবির মতে অঙ্গের তাপে পৃথিবী- শুষ্ক নিরানন্দ ।
৩৯. বহু সুরের সমন্বয়ে এক সুরে বাঁধাকে- ঐকতান বলে ।
৪০. কবি চিত্রময়ী বলেছেন- বর্ণনার বাণীকে ।
৪২. ‘ঐকতান’ কবিতা ‘জন্মদিনে’ কাব্যগ্রন্থের- ১০ সংখ্যক কবিতা।
৪৩. কবি নিজেকে সমাজের যে মঞ্চের লোক বলেছেন-  উচ্চমঞ্চের।
৪৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতে, তাঁর কবিতা বিচিত্র পথে অগ্রসর হলেও পৌঁছতে পারেন- জীবনের সকল স্তরে ।
৪৫. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেই কবির বাণী শুনতে কান পেতে ছিলেন- যে কবি আছেন মাটির কাছাকাছি ।
৪৬. জীবনের সঙ্গে জীবনের সংযোগ ঘটাতে না পারলে শিল্পীর সৃষ্টি পরিণত হয়- কৃত্রিম পণ্যে।
৪৭. যারা কর্মে ও কথায় সত্য আত্মীয়তা অর্জন করেছেন তারাই কৃষাণের জীবনের সঙ্গে শরিক।
৪৮. কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাঝে মধ্যে ক্ষণিকের জন্য উঁকি দিয়েছেন- ব্রাত্য মানুষের পাড়ায়।
৪৯. ‘ঐকতান’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নারীবাচক শব্দ ‘বিপুলা’ বলে বুঝিয়েছেন- পৃথিবীকে।
৫০. জীবনÑসায়াহ্নে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আবির্ভাব প্রত্যাশা করেছেন – মৃত্তিকাসংলগ্ন মহৎ কবির ।

শব্দার্থ:
 বিপুলা= বিশাল প্রশস্ত। এখানে নারীবাচক শব্দ হিসেবে বিপুলা বলে পৃথিবীকে বোঝানো হয়েছে।
 ‘উদ্বারি’ শব্দের অর্থ = ওপরে বা উর্ধ্বে প্রকাশ করে দাও ।

নিজের সুবিধামত পড়ার জন্য টাইমলাইনে শেয়ার করে রাখুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − two =