আহ্বান: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কিত তথ্য-
নাম : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
জন্ম : ১২ সেপ্টেম্বর ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে। মুরারিপুর গ্রাম (মামার বাড়িতে), চব্বিশ পরগনা ।
পৈত্রিক নিবাস : ব্যারাকপুর গ্রাম, চব্বিশ পরগনা।
মৃত্যু : ১লা সেপ্টেম্বর ১৯৫০ সালে।
পিতার নাম : মহানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়
মাতার নাম : মৃণালিনী।

পেশা : শিক্ষকতা।
শিক্ষাজীবন: মাধ্যমিকÑ ম্যাট্রিক (১৯১৪) বনগ্রাম স্কুল। উচ্চ মাধ্যমিকÑ আইএ (১৯১৬) কলকাতা রিপন কলেজ। উচ্চতরÑ বিএ ডিস্টিংশনসহ (১৯১৮) কলকাতা রিপন কলেজ।
সাহিত্যিক পরিচয়: তিনি মূলত একজন ঔপন্যাসিক, শরৎচন্দ্র পরবর্তী ঔপন্যাসিকদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁর সাহিত্য রচনার মূল বিষয় ‘প্রকৃতি ও মানব জীবন’। তাঁর সাহিত্যিক ভাষাÑমধুর ও কাব্যধর্মী ।

বিভূতিভূষণের সাহিত্যকর্ম :
উপন্যাস:
পথের পাঁচালী (১৯২৯), অপরাজিতা(১৯৩১), দৃষ্টি প্রদীপ (১৯৩৫), আরণ্যক (১৯৩৮), আদর্শ হিন্দু হোটেল (১৯৪০), দেবযান (১৯৪৪), ইছামতী (১৯৪৯),অশনি সংকেত (১৯৫৯) ইত্যাদি।

ছোটগল্প:
মেঘমল্লার, মৌরিফুল, যাত্রাবদল, কিন্নর দল ইত্যাদি।
আত্মজীবনীমূলক রচনা : তৃণাঙ্কুর।

গুরুত্বর্পূণ প্রশ্নঃ
বিভূতিভূষণের প্রথম উপন্যাস- “পথের পাঁচালী (১৯২৯)।
পথের পাঁচালীর উল্লেখ যোগ্য চরিত্র- অপু, দুর্গা, ইন্দির ঠাকরুন, সর্বজয়া
অপরাজিতা উপন্যাসের প্রথম নাম ছিল-“অলোক সারথী”।
“ইছামতী” উপন্যাসের জন্য বিভূতিভূষণ- রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন।
“পথের পাঁচালী” উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন- সত্যজিৎ রায়।
“অশনি সংকেত” উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন- ঋত্বিক ঘটক।

কিশোর উপন্যাস- চাঁদের পাহাড়, মিসমিদের কবচ, হীরামানিক জ্বলে।
পথের পাঁচালী সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের মন্তব্য- “এই বইখানিতে পেয়েছি যথার্থ গল্পের স্বাদ। এর থেকে শিক্ষা হয়নি কিছুই। দেখা হয়েছে অনেক যা পূর্বে এমন করে দেখিনি”

এক নজরে আহ্বান
০১ প্রথম লাইন- দেশের ঘরবাড়ি নেই অনেকদিন থেকেই।
০২.শেষ লাইন- সঙ্গে সঙ্গে মনে হলো,ও বেঁচে থাকলে বলে উঠতো Ñঅ মোর গোপাল।
০৩. ‘এসো, এসো, বেঁচে থাকো, দীর্ঘজীবী হও’।
০৪. জ্যৈষ্ঠ মাসে গরমের ছুটিতে আমার নতুন তৈরী খড়ের ঘরখানাতে উঠলাম।
০৫. যদি মরি, আমার কাফনের কাপড় তুই কিনে দিস। ০৬. ওর স্নেহাতুর আত্মা বহুদূর থেকে আমায় আহ্বান করে এনেছে।
০৭. লেখককে দেখে কে বেশি খুশি হয়েছেন?- গ্রামের চক্কোত্তী মশাই।
০৮. ‘আজ্ঞে সামান্য মাইনে পাই’ কথাটি কে বলেছেন ? – লেখক ।
০৯. গল্পে জমির করাতি কে? – বুড়ির স্বামী।
১০. গরমের ছুটি হয়েছিল কোন মাসে? – জ্যৈষ্ঠ মাসে।
১১. অসুস্থ বুড়ির পাশে কে বসেছিল? – বুড়ির পাতানো মেয়েটি ।
১২. লেখকের মোট কতবার গ্রামের বাড়ির আসার কথা উল্লেখ আছে? – চারবার ।
১৩. বুড়ি কোন ঋতুতে মারা যায়? – শরৎকালে ।
১৪. গনির পিতার নাম কী?- আবেদালি ।
১৫. গল্পে কোন কোন মাসের নাম আছে? – জ্যৈষ্ঠ ও আশ্বিন ।
১৬. বুড়ির দুচোখ বেয়ে জল পড়ে কেন? – লেখকের দেখা পেয়ে।
১৭. লেখকের পিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন- চক্কোত্তি মশায়।
১৮. আমবাগানের মধ্য দিয়ে বাজারে যাচ্ছিল -বৃদ্ধা
১৯. কাঁঠালতলায় বসে আপনমনে বকে গেল- বুড়ি।

২০. কলকাতায় কেন বুড়ির কথা মনে আসেনি? – কর্মব্যস্ততার কারণে।
২১. বুড়ির সম্বোধন কেমন?- ঘনিষ্ঠ আদরের।
২২. বুড়িকে মা বলে ডাকে কে? – হাজরা ব্যাটার বউ।
২৩. গোয়ালিনীর নাম কী? – ঘুঁটি গোয়ালিনী।
২৪. বুড়ির মৃত্যু সংবাদ লেখককে জানায় কে? -দিগম্বরী।
২৫. দিগম্বরীর স্বামীর নাম কি? – পরশু সর্দার।
২৬. গাছের ছায়ায় বসেছিল- আবদুল, শুকুর মিয়া, নসর, আবেদালি, গণি।
২৭. গোপালের কাছ থেকে কাফনের টাকা নিয়ে যায়- বুড়ির নাতজামাই।
২৮. বুড়িকে কবরস্থ করা হয় কোথায়? – প্রাচীন তিত্তিরাজ গাছের তলায়।
২৯. তোমায় যে বড্ড ভালবাসত বুড়িÑকার উক্তি? – প্রবীণ শুকুর মিয়ার।
৩০. লেখক পথ্য ও ফলের জন্য টাকা দিয়েছিল কাকে- বুড়ির পাতানো মেয়েকে।
৩১. লেখকের জন্য আম আনার মধ্যে ফুটে উঠেছে- অপত্য স্নেহ।
৩২. বুড়ি সর্বপ্রথম লেখকের জন্য কী এনেছিল?- আম।

আলোচতি চরিত্র সমূহঃ
 গোপাল – লেখক, গল্প কথক।
 বুড়ি – জমিরের স্ত্রী, গল্পের মূল চরিত্র ।
 চক্কোত্তি মশাই – লেখকের বাবার পুরাতন বন্ধু ।
 নাত জামাই – বুড়ির একমাত্র রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয় ।
 জ্ঞাতি খুড়ো – লেখকের আত্মীয়, তাঁর বাসায় লেখক থাকতেন ।
 জমির – বুড়ির স্বামী (পেশায় করাতি) ।
 হাজরা ব্যাটার বউ – বুড়ির পাতানো মেয়ে।
 আবেদালি – লেখকের সহপাঠি ।
 গনি – আবেদালির ছেলে।
 শুকুর মিয়া – লেখককে বুড়ির কবরে মাটি দিতে বলেছিল।
 আবদুল, নসর – বুড়িকে কবর দিতে এসেছিল।
 দু জোয়ান – বুড়ির কবর খননকারী ।
 পরশু সর্দার – দিগম্বরীর স্বামী।

নিজের সুবিধামত পড়ার জন্য টাইমলাইনে শেয়ার করে রাখুন

1 thought on “আহ্বান: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × two =