সুফিয়া কামাল সম্পর্কিত তথ্য-
জন্ম- ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুন।
জন্মস্থান- বরিশাল জেলার শায়েস্তাবাদে মামার বাড়ি।
পৈতৃক নিবাস- কুমিল্লায়।
মৃত্যু- ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে।
পরিচিতি- বিশিষ্ট মহিলা কবি এবং নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ।
উপাধি- জননী সাহসিকা।
সাহিত্যকর্ম-
কাব্যগ্রন্থ- সাঁঝের মায়া, মায়াকাজল, মন ও জীবন, উদাত্ত পৃথিবী ইত্যাদি।
গল্পগ্রন্থ- কেয়ার কাঁটা।
স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ- একাত্তরের ডায়রী।
শিশুতোষ গ্রন্থ- ইতল বিতল ও নওল কিশোরের দরবার।
কবিতা সম্পর্কিত তথ্য-
এ কবিতাটি- ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে ‘মাসিক মোহাম্মদী’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।
এ কবিতায়- কবির ব্যক্তিগত জীবনের দুঃখের ছায়াপাত ঘটেছে।
কবিতাটি- অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত।
এক নজরে তাহারেই পড়ে মনে-
০১. তরী তার এসেছে কি? বেজেছে কি আগমনী গান? ডেকেছে কি সে আমারে? শুনি নাই, রাখিনি সন্ধান। এখানে প্রকাশ পেয়েছে- কবির উদাসীনতা।
০২. কুহেলি উত্তরী তলে মাঘের সন্ন্যাসী- গিয়াছে চলিয়া ধীরে পুষ্পশূন্য দিগন্তের পথে রিক্ত হস্তে!- এখানে মাঘের সন্ন্যাসী- শীত ঋতু।
০৩. ‘কুহেলি উত্তরী তলে মাঘের সন্ন্যাসী’- এর অর্থ কী? উত্তর:- শীতকে সন্ন্যাসীর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এই সন্ন্যাসী কুয়াশার (কুহেলি) চাদরের (উত্তরী) নিচে যেন বসে আছেন।
০৪. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার স্তবক ও চরণ কয়টি? – স্তবক সংখ্যা ৫টি, চরণ ৩০টি।
০৪. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার স্তবক ও চরণ কয়টি? – স্তবক সংখ্যা ৫টি, চরণ ৩০টি।
০৫. কবিতায় কোন দুটি বাংলা মাসের নাম উল্লেখ রয়েছে? -মাঘ ও ফাগুন (ফাল্গুন)।
০৬. কবিতায় উল্লেখকৃত বাংলা ঋতুর নাম কী? -বসন্ত।
০৭. কবিতায় ‘তাহারেই পড়ে মনে’ বাক্যটি কয়বার রয়েছে? -১ বার।
০৮. সুফিয়া কামালের স্বামী সৈয়দ নেহাল হোসেন কবে মৃত্যুবরণ করেন? -১৯৩২ সালে।
০৯. ‘অর্ঘ্য’ ও ‘অর্ঘ’ শব্দ দুটির অর্থগত পার্থক্য কী?Ñ ‘অর্ঘ্য’ শব্দের অর্থ পূজার উপকরণ এবং ‘অর্ঘ’ শব্দের অর্থ মূল্য।
১০. ‘কহিলাম, ওগো কবি রচিয়া লহ না আজও গীতি, বসন্ত বন্দনা তব কন্ঠে শুনি- এ মোর মিনতি’-উক্তিটি ঃ কবির ভক্তদের, কবির প্রতি।
১১. ‘হে কবি, নীরব কেন ফাগুন যে এসেছে ধরায়, বসন্তে বরিয়া তুমি লবেনা কি তব বন্দনায়’? উক্তিটি- কবির প্রতি ভক্তবৃন্দের।
১২. ‘কহিল সে স্নিগ্ধ আঁখি তুলি দক্ষিণ দুয়ার গেছে খুলি’- এটি কোন কবিতার অংশ? – তাহারেই পড়ে মনে।
১৩. ‘তাহারেই পড়ে মনে ভুলিতে পারি না কোন মতে’- কার কথা বলা হয়েছে- উক্তিটি শীত প্রকৃতির উদ্দেশ্যে বেগম সুফিয়ার।
১৪. ধরায় ফাগুন এসেছে কেন? – বসন্তকে বরণ করে নেয়ার জন্য।
১৫. মাঘের সন্ন্যাসী কীভাবে গেছে? – রিক্ত হস্তে।
১৬. এ কবিতায় কোন ধরনের গানের কথা বলা হয়েছে? – আগমনী গান।
১৭. “তাহারেই পড়ে মনে” কবিতায় কবি বসন্ত বন্দনায় বিমুখতার কারণ কী? – প্রিয় বিয়োগ।
১৮. বাতাবী লেবুর ফুল ফুটেছে কী? ফুটেছে কি আমের মুকুল? কোন কবির রচনা? -সুফিয়া কামাল।
১৯. বসন্ত কাকে স্মরণ করে পৃথিবীতে এসেছে? – ফাগুনকে।
২০. তাহারেই পড়ে মনে কবিতার মূল বিষয় কী? – জীবনের বিষণœ মাধুর্য।
২১. সুফিয়া কামালের কবিতায় কোন সুর শুনতে পাওয়া যায়? – নিভৃত মাধুর্যের সুর।
২২. বসন্তে কবির কোন সাজ প্রত্যাশিত হয়? – পুষ্প সাজ।
২৩. তাহারেই পড়ে মনে কবিতাটি কোন ধরনের? – অনেকটা কথোপকথন ধর্মী/সংলাপধর্মী।
২৪. বেগম সুফিয়া কামালের পারিবারিক পরিবেশে কোন ভাষা ব্যবহৃত হয়? – উর্দু
২৫. ধরায় ফাগুন এসেছে কেন? – বসন্তকে বরণ করে নেয়ার জন্য।
২৬. দখিনা সমীর কিসে অধীর আকুল হয়? – বাতাবি নেবুর ফুল ও আমের মুকুল।
২৭. বাংলাদেশের জন-মানসে ভাস্বর হয়েছে নন্দিত মাতৃমূর্তিতে কে? – সুফিয়া কামাল।
গুরুত্বর্পূণ শব্দার্থ-
পাথর – কঠিন শিলা
সংশয় – ভয়
পুণ্য – ভাল কাজের ফসল
তীব – অত্যন্ত
বরিয়া – বরণ করে
সমীর – বাতাস
উন্মনা – অন্যমনস্ক
অলখ – অলক্ষ্য, দৃষ্টির অগোচর
পাথার – সমুদ্র
রচিয়া – রচনা করে
লহ – নাও
হেলায় – অবজ্ঞা করে, অবহেলা করে
পুষ্পারতি – ফুলের বন্দনা বা নিবেদন
মাধবী – বাসন্তীলতা ও তার ফুল
বিমুখতা – অনাগ্রহ, বিরূপ ভাব, অপ্রসন্নতা
কুহেলি – কুয়াশা
উত্তরী – চাদর,উল্টরীয়
অর্ঘ্য বিরচন – অঞ্জলি বা উপহার রচনা
ইটার বাংলা বই সৃজনশীল প্রশ্ন এবং উওর