নামঃ আহসান হাবীব
জন্মঃ ২ জানুয়ারি ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দ।
জন্মস্থানঃ শঙ্করপাশা গ্রাম, পিরোজপুর।
মৃত্যুঃ ১০ জুলাই, ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দ।
কর্মজীবনঃ কর্মজীবনে তিনি একজন সাংবাদিক ছিলেন। তিনি যেসব পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন তা হলোÑ
সহকারী সম্পাদকঃ দৈনিক তাকবীর, মাসিক বলবুল।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মাসিক সওগাত।
স্টাফ আর্টিস্টঃ আকাশবাণী, কলকাতা।
সাহিত্য সম্পাদকঃ দৈনিক পাকিস্তান (পরবর্তীতে দৈনিক বাংলা।)
সাংবাদিকতাঃ দৈনিক আজাদ, মাসিক মোহাম্মদী, দৈনিক কৃষক, দৈনিক ইত্তেহাদ, সাপ্তাহিক প্রবাহ।
কাব্যগ্রন্থঃ
ছায়া হরিণ (১৯৬২), সারা দুপুর (১৯৬৪), আশায় বসতি (১৯৮১), মেঘবলে চৈত্রে যাবো (১৯৭৬), দু হাতে দুই আদিম পাথর (১৯৮০), প্রেমের কবিতা (১৯৮১), বিদীর্ণ দর্পণে মুখ (১৯৮৫)।
উপন্যাসঃ অরণ্যে নীলিমা (১৯৬২), রাণী খালের সাঁকো (১৯৬৫)।
শিশুতোষ গ্রন্থঃ ছোটদের পাকিস্তান (১৯৫৪), বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর (১৯৭৭), ছুটির দিন দুপুরে (১৯৭৮)।
পুরস্কার ও সম্মাননাঃ বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬১), ও একুশে পদক (১৯৭৮)।
গুরুত্বর্পূণ জিজ্ঞাসাঃ
প্রথম কাব্যগ্রন্থ – রাত্রিশেষ। (প্রকাশকাল ১৯৪৭)।
আহসান হাবীবের সাহিত্য রচনার বিষয় – সামাজিক বাস্তবতা, মধ্যবিত্ত মানুষের সংগ্রামী জীবন ও সমকালীন যুগ-যন্ত্রণা।
তাঁর বিখ্যাত কবিতা “আমি কোন আগন্তুক নই” কবিতাটি “দু’হাতে দুই আদিম পাথর” কাব্য থেকে নেওয়া হয়েছে।
এক নজরে সেই অস্ত্র
০১. প্রথম লাইন – “আমাকে সেই অস্ত্র ফিরিয়ে দাও”
০২. শেষ লাইন – “সেই অমোঘ অস্ত্র ভালবাসা পৃথিবীতে ব্যাপ্ত করো।
০৩. অরণ্য হবে আরও সবুজ নদী আরও কল্লোলিত।
০৪. ‘সে অস্ত্র উত্তোলিত হলে পৃথিবীর যাবতীয় অস্ত্র হবে আনত’।
০৫. কবিতাটি অন্ত্যমিলহীন অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত।
০৬. কবিতায় লাইন সংখ্যা – ৩১টি।
০৭. সেই অস্ত্র ধারা উদ্দেশ্য – ভালবাসা দিয়ে সবকিছু জয় করার ইচ্ছা।
০৮. সেই অস্ত্র কবিতার কাব্যগ্রন্থ কোনটি? – ‘বিদীর্ণ দর্পণে মুখ’।
০৯. কোন অস্ত্র মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে না? – ভালবাসা নামক অস্ত্র।
১০. কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত? – অন্ত্যমিলহীন অক্ষরবৃত্ত ছন্দে।
১১. কবির সেই অস্ত্র কী রকম? – অমোঘ অনন্য।
১২. কবির অস্ত্র উত্তোলিত হলে অরণ্য কী হবে? – সবুজ হবে।
১৩. কবি সেই অস্ত্র কী করতে বলেছেন? – পৃথিবীতে ব্যাপ্ত করতে।
১৪. “সেই অস্ত্র” কবিতায় কোন আকাশের কথা উল্লেখ আছে? – নক্ষত্র খচিত আকাশ।
১৫. মুহুর্তের অগ্নুৎপাত লক্ষ লক্ষ মানুষকে কী করে? – পঙ্গু করে।
১৬. কবির ভালবাসার অস্ত্র ব্যাপ্ত হলে লক্ষ লক্ষ মানুষ কী করবে না? – আর্তনাদ করবে না।
১৭. কোন অস্ত্র মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে না? – ভালবাসা নামক অস্ত্র।
১৮. সেই অস্ত্র কিসের লোভকে নিশ্চিহ্ন করে – আধিপত্য।
১৯. কবির প্রত্যাশিত অস্ত্র কেমন – অবিনাশী।
২০. কবির আকাঙ্খিত অস্ত্র উত্তোলিত হলে ফসলের মাঠে কী হবেনা? – আগুন জ্বলবে না।
২১. সেই অস্ত্র কবিতার প্রতিপাদ্য বিষয় – যুদ্ধ নয় শান্তি চাই।
গুরুত্বর্পূণ শব্দার্থ-
সেই অস্ত্র – কবিতায় ভালবাসা দিয়ে বিশ্ব জয়ের অস্ত্র বোঝানো হয়েছে।
অমোঘ – অব্যর্থ, সার্থক, অবশ্যম্ভাবী।
জাত্যাভিমান – কোন যুক্তি ছাড়াই নিজ জাতিকে সর্বশ্রেষ্ঠজ্ঞান করার অহংকারী মনোভাব।
সমাবিষ্ট – সমভাবে আবিষ্ট। সমাবেশ হয়েছে এমন; সমবেত হওয়া অর্থে।