আল মাহমুদ নিয়ে গুরুত্বর্পূণ তথ্যঃ
নাম: আল মাহমুদ । প্রকৃত নাম : মীর আবদুস শুকুর।
জন্ম : ১১ জুলাই ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দ। ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার মৌড়াইল গ্রামে।
মৃত্যু: ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সালে বাগদাদ, ইরাকের ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
পিতার নাম : আব্দুর রব মীর। মাতার নাম : রওশন আরা মীর।
সম্পাদিত পত্রিকা: ‘দৈনিক গণকণ্ঠ ও দৈনিক কর্ণফুলী’
পেশা: সাংবাদিক – ‘দৈনিক গণকন্ঠ ও দৈনিক কর্ণফুলী’। শিল্পকলা একাডেমিতে যোগদান ও পরে পরিচালক পদ থেকে অবসর।
শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ : সোনালী কাবিন (১৯৭৩)
আল মাহমুদের সাহিত্যকর্ম:
কাব্যগ্রন্থ: লোক লোকান্তর (১৯৬৩), কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৭৩), অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না (১৯৮০), বখতিয়ারের ঘোড়া (১৯৮৪), দোয়েল ও দয়িতা (১৯৯৭), পাখির কাছে ফুলের কাছে, প্রেমের কবিতা, দ্বিতীয় ভাঙন (২০০২), মায়াবি পর্দা দুলে উঠে, আরব্য রজনীর রাজহাঁস।
গল্পগ্রন্থ: পানকৌড়ির রক্ত (১৯৭৫), সৌরভের কাছে পরাজিত (১৯৮৩), গন্ধবনিক (১৯৮৬), ময়ূরীর মুখ (১৯৯৪)।
শিশুতোষ কাব্যগ্রন্থ: পাখির কাছে ফুলের কাছে।
উপন্যাস: ডাহুকী (১৯৯২), উপমহাদেশ (১৯৯৩), আগুনের মেয়ে (১৯৯৫), চেহারার চতুরঙ্গ (২০০০), কাবিলের বোন (২০০১), কবি ও কোলাহল, নিশিন্দা নারী ইত্যাদি।
পুরস্কার ও সম্মাননা: বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৮), ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৬), একুশে পদক(১৯৮৭), ফররুখ স্মৃতি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন।
পাঠ পরিচিতি:
লোক লোকান্তর কবিতাটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ “লোক- লোকান্তর” থেকে নেওয়া হয়েছে। লোক-লোকান্তর কাব্য গ্রন্থটি ১৯৬৩ সালে প্রকাশিত হয়। লোক-লোকান্তর কবিতাটি কবির আত্মপরিচয় মূলক কবিতা।
কবির চেতনা যেন সত্যিকারের সুপ্রাণ এক অস্তিত্ব-পাখিতুল্য সেই কবিসভা সুন্দরের ও রহস্যময়তার স্বপ্নসৌধে বিরাজমান। প্রাণের মধ্যে, প্রকৃতির মধ্যে, সৃষ্টির মধ্যে তার বসবাস। কবি চিত্রকল্পের মালা গেঁথে তাঁর কাব্য চেতনাকে মূর্ত করে তুলতে চান। এ কবিতায় এক সুগভীর বিচ্ছিন্নতাবোধের যন্ত্রণা কবিকে কাতর করে আহত করে। তবু কবি সৃষ্টির আনন্দকে উপভোগ করতে আগ্রহী। তাঁর সৃষ্টির বিজয় অবশ্যম্ভাবী Ñ এই প্রত্যয় তাঁর বিচ্ছিন্নতাবোধের বেদনাকে প্রশমিত করে।
লোক-লোকান্তর কবিতাটি একটি সনেট কবিতা। কবিতার অষ্টকে অর্থাৎ প্রথম আট লাইনে অঙ্কিত হয়েছে চিরায়ত বাংলার অফুরন্ত রূপের সঙ্গে কবির সম্পর্কের বন্ধন।
আর কবিতার শেষ ছয় পঙক্তিতে দেখা যায় সৃষ্টির প্রেরণায় কবি চিরকালই উদ্বুদ্ধ। পৃথিবীর কোনো বিধি বিধান, কোনো নিয়ম কানুন, কোনো ধর্ম, সমাজ সংস্কার বা লোকালয়ের অধিনে তিনি আর তখন থাকেন না। বিচিত্র টানা পড়েন ও জীবন সংগ্রামের ভেতর দিয়ে কবিকে উত্তীর্ণ হতে হয় কবিতার সার্বভৌমত্বে এবং জয় হয় কবিতার।
এক নজরে লোক-লোকান্তর
০১. কবিতাটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত।
০২. লোকান্তর-পরলোক।
০৩. কবিতার প্রথম লাইন – “আমার চেতনা যেন একটি শাদা সত্যিকারের পাখি।”
০৪. শেষ লাইন – “ কবির গান। কবিতার আসন্ন বিজয়।”
০৫. কবির চেতনারূপ পাখি কোথায় বসে আছে? – ডালে ।
০৬. লোক থেকে লোকান্তরে কি শুনা যায়? – কবির গান।
০৭. লোক লোকান্তর কবিতায় সংসার সমাজ কর্ম কি হবে? – তুচ্ছ।
০৮. আল মাহমুদের সর্বশ্রেষ্ঠ রচনা? – সোনালী কাবিন।
০৯. লোক লোকান্তর অনুসারে একটি শাদা সতি
কাটা সুপারির রং কোন বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে- গ্রামীণ ঐতিহ্য।
তন্ত্রে মন্ত্রে ভরে আছে – চন্দনের ডাল ।
১২. বন্য পানলতা দোলে – বনচারী বাতাসে।
১৩. বনচারী বাতাস দোলে – মাথার ওপরে নীচে।
১৪. লোক লোকান্তর কবিতায় অরণ্য – সবুজ।
১৫. কবির চেতনার পাখিটির রং – শাদা।
১৬. কবির চেতনারূপ পাখিটি বসেছিল – চন্দনের ডালে।
১৭. চন্দনের ফুল – ঝাল মিষ্টি।
১৮. আল মাহমুদের জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কিসের জয় হয় – কবিতার।
১৯. লোক লোকান্তর একটি – আত্মপরিচয়মূলক কবিতা।
২০. কবি মালা গাঁথতে চান – চিত্রকল্পের।
২১. লোক লোকান্তর কবিতায় পরাগ হল – কাব্যভাষা।
২২. কবির চেতনারূপ পাখির নখের রং – তীব্র লাল
২৩. চন্দনের ডাল ভরে আছে – তন্ত্রে মন্ত্রে।
২৪. কবি তাকাতে পারেন না – বন্য ঝোপের ওপর।
২৫. লোক লোকান্তর কবিতায় কবি গান শুনতে পান – আহত কবির।
২৬. লোক লোকান্তর কবিতায় চোখের কথা বলা হয়েছে – দুটি।
২৭. লোক লোকান্তর কবিতা অনুসারে দুটি চোখের কোথায় কাটা সুপারির রং রয়েছে? – কোটরে
২৮. আহত কবির গান বলতে বুঝানো হয়েছে- মৃত্যুপথযাত্রী কবির গান।
২৯. বনচারী বাতাসের তালে দোলে -বন্য পানলতা।
৩০. লোক-লোকান্তর কবিতায় কী রঙের পায়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে – সবুজ।