আখতারুজ্জামান ইলিয়াস সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
জন্ম : ১২ ফেব্র“য়ারি, ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দ
মৃত্যু : ১৯৯৭ সালের ৪ঠা জানুয়ারি
জন্মস্থান : গাইবান্ধা জেলার গোটিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে।
পৈতৃক নিবাস : বগুড়া জেলার নারুলি গ্রাম।
পিতার নাম : বি.এম ইলিয়াস।
মাতার নাম : মরিয়ম ইলিয়াস।
শিক্ষাজীবন : ম্যাট্রিক (১৯৫৮); ইন্টারমেডিয়েট (১৯৬০); বি.এ সম্মান বাংলা (১৯৬৩); এম.এ (১৯৬৪)
প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ : ‘অন্য ঘরে অন্য স্বর’ (১৯৭৬)
সর্বশেষ গল্পগ্রন্থ : জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল (১৯৯৭)
উপন্যাস : চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭), খোয়াবনামা (১৯৯৬)।
প্রবন্ধ সংকলন : ‘সংস্কৃতির ভাঙা সেতু’।
গল্পগ্রন্থাবলি : অন্য ঘরে অন্য স্বর (১৯৭৬), খোঁয়ারি (১৯৮২), দুধভাতে উৎপাত (১৯৮৫), দোজখের ওম (১৯৮৯), জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল (১৯৯৭)।
প্রাপ্ত পুরস্কার : বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৭), কাজী মাহবুব উল্লাহ স্বর্ণপদক।
উৎস ও গল্প পরিচিতি: ‘রেইনকোট’ গল্পটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে। পরে এটি লেখকের সর্বশেষ গল্পগ্রন্থ ‘জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল’ গ্রন্থে সংকলিত হয়। গল্পের পাঠ গ্রহণ করা হয়েছে ‘আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচনাসমগ্র থেকে। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ের ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ে গল্পটি রচিত। গল্পের কথক নুরুল।
লেখকের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ পরিচিতি:
চিলেকোঠার সেপাই- এ উপন্যাসে গ্রামীণ জীবনের শ্রেণিসংগ্রাম ও তার পরিণতির চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র ওসমান গণি। সে এক বাড়ির চিলেকোঠার ভাড়াটে বাসিন্দা। সে মধ্যবিত্তের ব্যক্তিসর্বস্ব, আত্মপ্রেম ও আত্মনিগ্রহপরায়তা চেতনার প্রতিনিধি। খিজির একটি সংগ্রামী চরিত্র। গণঅভ্যুত্থান ও খিজিরের আত্মত্যাগের ফলেই চিলেকোঠার বিচ্ছিন্ন জগৎ থেকে সংগ্রামী জনসমুদ্রের সঙ্গে মিলিত হয়। ওসমানের রুপান্তরের মাধ্যমে মধ্যবিত্ত বাঙালি সংগ্রামী জীবনের স্বরূপ দেখানো হয়েছে। এখানে স্বাধীনতা সংগ্রামের অব্যবহিত পূর্ব রূপটি উঠে এসেছে। এটি একটি মহাকাব্যোচিত উপন্যাস।
খোয়াবনামা- এটি আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। এটিও মহাকাব্যোচিত উপন্যাস। উপন্যাসের কাহিনী লাভ করেছে বগুড়ার কাছাকাছি কাৎলাহার বিল ও তার আশেপাশের এলাকার মানুষদের নিয়ে। তামিজ এ উপন্যাসের সবচেয়ে উজ্জ্বল চরিত্র। সে এলাকার শোষিত মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে শোষক শ্রেণীর মানুষগুলোর শোষণের প্রতিবাদ করার জন্য তেভাগা আন্দোলনে জড়িত হয়ে পড়ে। ইতিহাসের বিচিত্র উপকরণ এ উপন্যাসে স্থান পেয়েছে। ব্রিটিশ আমলের নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, পলাশীর যুদ্ধ, সিপাহি বিদ্রোহ, দেশবিভাগ, ফকির বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহ, তেভাগা আন্দোলন, মুসলিম লীগ, কংগ্রেস ইত্যাদি রাজনৈতিক ঘটনা উপন্যাসে স্থান পেয়েছে।
জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল- গ্রন্থে ৫টি গল্প স্থান পেয়েছে। গল্পগুলো হলো Ñ প্রেমের গপ্পো, ফোঁড়া, জাল স্বপ্ন : স্বপ্নের জাল, কান্না, রেইনকোট।
এক নজরে রেইনকোট
০১. গল্পে উল্লিখিত বৃষ্টির মেয়াদ কতদিন? – ৩ দিন।
০২. বুধের সকালে নামল জল, বিকালে মেঘ কয় এবার চল।
০৩. গল্পে উল্লিখিত ফুটপাত কতদিন বন্ধ ছিল? – ৩ দিন (বৃষ্টির কারণে)।
০৪. প্রিন্সিপালের পিওন নুরুলের বাড়িতে কখন কড়া নাড়ে? – সকালে।
০৫. যে সকল স্থানের উল্লেখ আছে – মিরপুর, মগবাজার, রংপুর, দিনাজপুর, আসাদগেট, নিউমার্কেট।
০৬. কলেজের দালানের পর কি ছিল?- ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার মাঠ।
০৭. ইসহাক কবে থেকে বাংলা বলা ছেড়েছে?- এপ্রিলের শুরু থেকে।
০৮. যে সব মাসের উল্লেখ আছে – জুন, জুলাই, এপ্রিল।
০৯. যে ঋতুর উল্লেখ আছে – বর্ষা, হেমন্ত।
১০. মিন্টু কত তারিখে নুরুলের বাড়ি থেকে চলে যায়? – জুনের ২৩ তারিখ।
১১. নুরুল মগবাজারের বাড়িটি কত তারিখে শিফট করে? -১লা জুলাই।
১২. নুরুলের বাড়ির কোনদিকের জানালা দিযে ধানখেত দেখা যায়? – পূর্বদিকের।
১৩. ‘দেখি তো, ফিট করে কিনা’ – কার উক্তি? – আসমার।
১৪. “আব্বু ছোটমামা হয়েছে” কার উক্তি? – নুরুলের আড়াই বছরের মেয়ের।
১৫. কলেজের জন্য কয়টি আলমারি আনা হয়েছিল? – ১০টি।
১৬. কয়টা ঠেলাগাড়ি করে আলমারি আনা হয়েছিল? – কয়েকটা।
১৭. “বর্ষাকালেই তো জুৎ” – কোন গল্পের লাইন? – রেইনকোট।
১৮. বাসে উঠা মিলিটারি দেখতে কেমন ছিল? – লম্বা ও খুব ফর্সা।
১৯. ‘আগে বাঢ়ো’ কার উক্তি? – মিলিটারির।
২০. শেষ হেমন্তের বৃষ্টিতে বেশ শীত শীত ভাব।
২১. ছেলেটা একটু বাচাল টাইপের -কোন ছেলেটা? -দোকানদার ছেলেটা।
২২. পূর্বদিকে জানালা ধরে দাঁড়ালে চোখে পড়ে বিল আর ধানক্ষেত।
২৩. হেনরি কিসিঞ্জারের উল্লেখ পাওয়া যায় কোন গল্পে?- রেইনকোট।
২৪. ‘রেইনকোট’ গল্পে প্রথমে কতজন যাত্রী নামে? -দু’জন ।
২৫. ‘রেইনকোট’ গল্পে নুরুল হুদার স্ত্রীর নাম কী? -আসমা ।
২৬. ‘রেইনকোট’ গল্পে প্রথমে বাস থেকে কতজন যাত্রী নামে? -দু’জন।
২৭. ‘রেইনকোট’ গল্পটি কত সালে প্রকাশিত হয়? -১৯৯৫ সালে।
২৮. ‘দুধভাতে উৎপাত’ গল্পগ্রন্থের লেখক কে? -আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।
২৯. ‘রেইনকোট’ গল্পে কতদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছিল? -তিন দিন ধরে ।
৩০. ‘রেইনকোট’ গল্পে ‘বর্ষাকালেই তো জুৎ’ কথাটা কে বলেছে? -কুলি ।
৩১. ‘রেইনকোট’ গল্পে কাকে এখন মিলিটারির কর্নেল বললেও চলে? -ইসহাককে ।
৩২. ‘রেইনকোট’ গল্পে গল্পকথক বাস থেকে কোথায় নেমেছিল? -নিউমার্কেটের সামনে।
৩৩. “আব্বুকে ছোটমামার মতো দেখাচ্ছে, আব্বু তাহলে মুক্তিবাহিনী।” কার উক্তি? – নুরুলের পাঁচ বছরের ছেলে।
৩৪. “শোনেন, মিলিটারি যাদের ধরে, মিছিমিছি ধরে না।” কার উক্তি? – প্রিন্সিপাল ড. আফাজ আহমদ।
৩৫. এরা বোধ হয় যে কোন সময়কেই নামাজের ওয়াক্ত ঘোষণা করে নতুন হুকুম জারি করেছে।
৩৬. ‘রেইনকোট’ গল্পে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে নুরুল হুদাকে কোন দিকে তাকাতে হয়? -উত্তর দিকে ।
৩৭. মানুষ মেরে সাফ করে দেয়া পাকিস্তানের কোন ধরনের অ্যাফেয়ার? -ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার।
৩৮. ‘রেইনকোট’ গল্পে নুরুল সাহেব মসজিদের উল্টো দিকের বাড়ির কত তলায় থাকতেন? -তিন তলায়।
৩৯. মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কোন এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে গল্পটি রচিত?-ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ে।
৪০. ‘ক্রাক-ডাউনের রাত’ বলতে কোন রাতকে বোঝানো হয়েছে? -১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত কালরাতকে ।
৪১. হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী বিপজ্জনক পরিস্থিতিকে পড়েছিল কেন? -প্রবল বর্ষার কারণে।
৪২. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের বাহিনী কাদের হাতে পর্যদুস্ত হয়েছিল? -রুশ বাহিনীর হাতে।
৪৩. ‘রেইনকোট’ গল্পে কলেজের সামনের দেয়াল ঘেঁষে কী আছে? -ইলেকট্রিক ট্রান্সফরমার।
৪৪. ‘রেইনকোট’ গল্পে কার শ্বশুর নিশ্চয়ই সর্দার গোছের রাজাকার? – ওয়েলডিং ওয়ার্কশপের মালিক।
৪৫. ‘রেইনকোট’ গল্পে কাকে মিলিটারি জিপে তোলা হয়? -গল্পকথক নুরুল হুদা ও আবদুস সাত্তার মৃধাকে
৪৬. রেইনকোট’ গল্পে নুরুল হুদাকে কিসের সাথে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়? -ছাদে লাগানো একটা আংটার সঙ্গে।
৪৭. নুরুলের ঘরের দরজা কিভাবে আটকানো ছিল? – ২টি ছিটকিনি, ১টি খিল এবং কাঠের ডাশা।
৪৮. প্রিন্সিপাল মিলিটারিদের শহিদ মিনার ভাঙ্গার পরামর্শ দিয়েছিল কখন? – এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে।
৪৯. মুক্তিযোদ্ধাদের তৎপরতা পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কী নামে অভিহিত করত? -সাবভার্সিভ অ্যাকটিভিটিজ ।