নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় -সৈয়দ শামসুল হক

নাম : সৈয়দ শামসুল হক।
জন্ম : ২৭ ডিসেম্বর ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দ।
জন্মস্থান : কুড়িগ্রাম।
পরিচিতি : সব্যসাচী লেখক হিসেবে।
পিতার নাম : সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন।
শিক্ষা জীবন : মাধ্যমিক – ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল।
উচ্চ মাধ্যমিক – জগন্নাথ কলেজ।
উচ্চতর শিক্ষা : স্নাতক (ইংরেজি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
কর্মজীবন : সাংবাদিক ও লেখক।
প্রযোজক – বাংলা বিভাগ, বিবিসি।
চিত্রনাট্য রচয়িতা ও গীতিকার হিসেবে ও খ্যাতি অর্জন।

পুরস্কার ও সম্মাননা :
বাংলা একাডেমি পুরস্কার – ১৯৬৬, আদমজি সাহিত্য পুরস্কার – ১৯৬৯, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার – ১৯৮৩, একুশে পদক – ১৯৮৪
অন্যান্য পুরস্কার – অলক্ত স্বর্ণপদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক, টেনাসিনাস পদক প্রভৃতি।

সাহিত্যকর্মঃ
কাব্যগ্রন্থ – একদা এক রাজ্যে (১৯৬১), বৈশাখে রচিত পঙক্তিমালা (১৯৭০), পরানের গহীন ভিতর (১৯৮০), কাননে কাননে তোমারই সন্ধানে (১৯৯০) , আমি জন্মগ্রহণ করিনি (১৯৯০) ইত্যাদি।
কাব্যনাট্য – পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় (১৯৭৬), নূরলদীনের সারা জীবন (১৯৮২), এখানে এখন (১৯৮৮), ঈর্ষা।
প্রবন্ধ – হৃৎকলমের টানে (১৯৯৭১)।
গল্প – তাস (১৯৫৪), শীত বিকেল (১৯৫৯), আনন্দের মৃত্যু (১৯৬৭), প্রাচীন বংশের নিঃস্ব সন্তান (১৯৮২), জলেশ্বরীর গল্পগুলো (১৯৯০)।
উপন্যাস – এক মহিলার ছবি (১৯৫৯), অনুপম দিন (১৯৬২), সীমানা ছাড়িয়ে (১৯৬৪), খেলারাম খেলে যা (১৯৭৯), নীল দংশন (১৯৮১), স্তব্ধতার অনুবাদ (১৯৮৭), বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ (১৯৮৯), ত্রাহি (১৯৮৯), তুমি সেই তরবারী (১৯৮৯), অন্য এক অলিখান, এক মুঠো জন্মভূমি, আলোর জন্য, রাজার সুন্দরী, নিষিদ্ধ লোবান ইত্যাদি।
শিশু কিশোরদের জন্যঃ সীমান্তের সিংহাসন, অনুবড় হয়, হাডসনের বন্দুক ইত্যাদি।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা- পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, নিষিদ্ধ লোবান।
তিনি বাংলা কথা সাহিত্যে যৌনতার আমদানী করেছেন। তাঁর “খেলারাম খেলে যা” উপন্যাসকে পিন আপÑনভেল বলা হয়। হুমায়ুন আজাদ এ ধরনের উপন্যাসকে “অপন্যাস বলেছেন।

এক নজরে রেইনকোট
০১. প্রথম লাইন-নিলক্ষা আকাশ নীল, হাজার হাজার তারা এ নীলে অগণিত আর।
০২. শেষ লাইন-দিবে ডাক, “জাগো, বাহে, কোনঠে সবায়?”
০৩. কবিতাটি “নূরলদীনের সারাজীবন” কাব্য নাটক থেকে নেওয়া হয়েছে।
০৪. কবিতাটি গদ্যছন্দে রচিত।
০৫. কবিতার মাত্রা বিন্যাস অসম।
০৬. আলোচ্য কবিতায় সমস্ত নদীর অশ্র“ -অবশেষে ব্রহ্মপুত্রে মেশে।
০৭. সমস্ত নদীর অশ্র“ অবশেষে কোথায় মেশে? – ব্রহ্মপুত্র নদীতে।
০৮. অতীত কোথায় হানা দেয়? – মানুষের বন্ধ দরোজায়।
০৯. নিলক্ষা শব্দের অর্থ কী? – দৃষ্টিসীমা অতিক্রমী।
১০. দীর্ঘদেহ নিয়ে নূরলদীন কোথায় দেখা দেয়? – মরা আঙিনায়।
১১. কবিতায় জ্যোৎস্নাকে কিসের সাথে তুলনা করা হয়েছে? – ধবল দুধের সাথে।
১২. কবিতায় চাঁদের কোন তিথির কথা বলা হয়েছে? – পূর্ণিমা তিথি।
১৩. নিলক্ষার নীচে হঠাৎ কী দেখা দেয়? – বড় চাঁদ দেখা দেয়।
১৪. সবাইকে কীভাবে সমবেত হতে বলা হয়েছে? – গোল ও ঘন হয়ে।
১৫. কিসের জন্য কবি সবার কাছে মিনতি করেছেন? – স্থির হয়ে বসার জন্য।

১৬. কিসের রং তীব্র ও স্বচ্ছ? – পূর্ণিমার রং।
১৭. শকুন কোথায় নেমে আসে? – সোনার বাংলায়।
১৮. আমাদের দেশ কিসে ছেয়ে যায়? – দালালের আলখাল্লায়।
১৯. কবির স্বপ্ন কি হয়ে যায়? – লুট হয়ে যায়।
২০. কবির দেহ থেকে রক্ত কোথায় ঝরে পড়ে? – ইতিহাসের পৃষ্ঠায়।
২১. কবি দুঃসময়ে কাকে মনে করেন? – নূরলদীনকে।
২২. নূরলদীন কিসের প্রতীক? – বিপ্লবীর প্রতীক।

গুরুত্বর্পূণ শর্ব্দাথঃ
নিলক্ষা – দৃষ্টিসীমা অতিক্রমী।
ধবল – সাদা।
স্তব্ধতার দেহ – এখানে নীরব নিস্তব্ধ পরিবেশ বোঝানো হয়েছে।
প্রপাত – নির্ঝরের পতনের স্থান। জলপ্রপাত
হানা দেয় – আক্রমণ করে।
কালঘুম – মৃত্যু, চিরনিদ্রা।
মরা আঙিনায় – মৃত্যু নিথর অঙ্গনে।
কোনঠে – কোথায়।
বাহে – বাপুহে। দিনাজপুর, রংপুর এলাকার সম্বোধনবিশেষ।

নিজের সুবিধামত পড়ার জন্য টাইমলাইনে শেয়ার করে রাখুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − sixteen =