এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে: জীবনানন্দ দাশ

জীবনানন্দ দাশ সম্পর্কিত তথ্য-
নাম-জীবনানন্দ দাশ,
জন্মসাল- ১৭ ফেব্র“য়ারি ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দ।
মৃত্যুসাল- ২২ অক্টোবর, ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দ।
মৃত্যুস্থান- কলকাতা (ট্রামের নিচে পড়ে আহত ও পরে হাসপাতালে মৃত্যু)
পিতার নাম- সত্যানন্দ দাশ,
মাতার নাম- কুসুমকুমারী দাশ। (একজন বিখ্যাত মহিলা কবি)
শিক্ষাজীবন- ম্যাট্রিক (১৯১৫), ব্রজমোহন স্কুল, বরিশাল। আই.এ (১৯১৭), ব্রজমোহন কলেজ, বরিশাল। বি.এ(১৯১৯), কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ। এম.এ (ইংরেজি) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
কর্মজীবন- অধ্যাপনা Ñ কলকাতা সিটি কলেজ, বাগেরহাট কলেজ, ব্রজমোহন কলেজ, হাওড়া গার্লস কলেজ।
সম্পাদনা- দৈনিক স্বরাজ। (সাহিত্য পাতা)।
বাংলা সাহিত্যে বিশেষত্ব- স্বচ্ছ, সুন্দর, শান্ত ও স্নিগ্ধ রোমান্টিক কবিতার স্রষ্টা।
উপাধিঃ রূপসী বাংলার কবি, ধূসরতার কবি, তিমির হননের কবি, নির্জনতার কবি এবং প্রেম ও নিসর্গের কবি।

জীবনানন্দ দাশ এর সাহিত্যকর্ম-
উপন্যাস- মাল্যবান (১৯৭৩), সতীর্থ (১৯৭৫), জলপাইহাটি।
প্রবন্ধগ্রন্থ- কবিতার কথা।
কাব্যগ্রন্থ- ঝরাপালক (১৯২৮), ধূসর পান্ডুলিপি (১৯৩৬), বনলতা সেন (১৯৪২), মহাপৃথিবী (১৯৪৪), সাতটি তারার তিমির (১৯৪৮), রূপসী বাংলা (১৯৫৭), বেলা অবেলা কালবেলা (১৯৬১)।

গুরুত্বর্পূণ জিজ্ঞাসা-
মৃত্যুর পর প্রকাশিত কাব্যঃ রূপসী বাংলা ও বেলা অবেলা কালবেলা।
সম্প্রতি খুঁজে পাওয়া তাঁর অন্য একটি উপন্যাসঃ কল্যাণী (প্রকাশ Ñ ১৯৯৯)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ধূসর পান্ডুলিপি” কবিতার বইটি পড়ে জীবনানন্দের কবিতাকে “চিত্ররূপময় কবিতা” বলে আখ্যায়িত করেছেন।

কবিতার কথা প্রবন্ধের একটি বিখ্যাত উক্তি “সকলেই কবি নন, কেউ কেউ কবি।”
“বনলতা সেন” কবিতার মিল রয়েছে Ñ অ্যাডগার এলেন পো-এর “টু হেলেন” কবিতার সাথে।

০১. প্রথম লাইনঃ এই পৃথিবীতে একস্থান আছে- সবচেয়ে সুন্দর করুণ।
০২. শেষ লাইনঃ তাই সে জন্মেছে নীল বাংলার ঘাস আর ধানের ভিতর।
০৩. “এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে” কবিতাটি ১৪ পঙক্তি ও প্রতি পঙক্তি ২২ মাত্রায় রচিত একটি সনেট কবিতা। প্রতি পঙক্তি ৮+৮+৬ মাত্রার তিন পর্বে বিভক্ত। কবিতাটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত।
০৪. ‘সুদর্শন’ কী?- এক ধরনের পোকা।
০৫. ‘বারুণী’ কী?- জলের দেবী।
০৬. ‘অবিরল’ অর্থ কী?- অবিশ্রান্ত, নিরন্তর।
০৭. কবিতায় কোন রংয়ের ডাঙার কথা বলা হয়েছে?- সবুজ রংয়ের।
০৮. অশ্বত্থ কিসের নাম?- একটি গাছের নাম।
০৯. অরুণ শব্দের অর্থ কী?- সূর্য।
১০. জলাঙ্গী শব্দের অর্থ কী?- জলাশয় বা জল ধারণকারী।
১১. কবিতায় কোন সাগরের নাম উল্লেখ আছে?- গঙ্গা সাগরের নাম।
১২. নাটা কী?- গোলাকার ক্ষুদ্র ফল বা তার বীজ।

০৯. গল্পে জমির করাতি কে?- বুড়ির স্বামী।
১০. গরমের ছুটি হয়েছিল কোন মাসে?- জ্যৈষ্ঠ মাসে।
১১. অসুস্থ বুড়ির পাশে কে বসেছিল?- বুড়ির পাতানো মেয়েটি ।
১২. লেখকের মোট কতবার গ্রামের বাড়ির আসার কথা উল্লেখ আছে?- চারবার ।
১৩. বুড়ি কোন ঋতুতে মারা যায়?- শরৎকালে ।
১৪. গনির পিতার নাম কী?- আবেদালি ।
১৫. গল্পে কোন কোন মাসের নাম আছে?- জ্যৈষ্ঠ ও আশ্বিন ।
১৬. বুড়ির দুচোখ বেয়ে জল পড়ে কেন?- লেখকের দেখা পেয়ে।
১৭. লেখকের পিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন- চক্কোত্তি মশায়।
১৮. আমবাগানের মধ্য দিয়ে বাজারে যাচ্ছিল- বৃদ্ধা
১৯. কাঁঠালতলায় বসে আপনমনে বকে গেল- বুড়ি।
২০. কলকাতায় কেন বুড়ির কথা মনে আসেনি? – কর্মব্যস্ততার কারণে।

১৪. কবিতায় নদীর নাম আছে কয়টি? – তিনটি।
১৫. কোন কোন নদীর নাম আছে? – কর্ণফুলী , ধলেশ্বরী, পদ্মা।
১৬. কী কী গাছের নাম আছে? – কাঁঠাল, অশ্বত্থ, বট, জারুল, হিজল, লেবু।
১৭. ঘাসের নাম কী? – মধুকূপী।
১৮. কবিতায় পাখির নাম আছে? – শঙ্খচিল, লক্ষ্মীপেঁচা।
১৯. কবিতায় “বিশালাক্ষী” কী? – দুর্গাদেবী।
২০. কবিতা পাঠ করে শিক্ষাথীরা শিখবে-দেশপ্রেম ও নিসর্গ প্রেম
২১. সুন্দর করুণ বলতে বুঝানো হয়েছে- দুঃখের মাঝেও সৌন্দর্য।
২২. শঙ্খচিল ও পানের বনের মধ্যে কোন বিষয়টি বিদ্যমান?- সংহতি।
২৩. বারুণী থাকেন- গঙ্গাসাগরের বুকে।
২৪. কবিতার মূল উপজীব্য বিষয়- বাংলার প্রকৃতির সৌন্দর্য।
২৫. বরুণ হল- জলের দেবতা।
২৬. সবুজ ডাঙা বলতে বুঝানো হয়েছে- ঘাস।

গুরুত্বর্পূণ শব্দার্থ-
 নাটা – লতাকরঞ্চ, গোলাকার ক্ষুদ্র ফল বা তার বীজ।
 সুকেশ – যে পুরুষের মাথার চুল সুন্দর।
 বারুণী – বরুণানী। বরুণের স্ত্রী। জলের দেবী।
 বিশালাক্ষী – যে রমণীর চোখ আয়ত ও টানাটানা।
 সুদর্শন – এক ধরনের পোকা।
 বর – কবিতায় আশীর্বাদ অর্থে ব্যবহৃত।

নিজের সুবিধামত পড়ার জন্য টাইমলাইনে শেয়ার করে রাখুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 2 =